মঙ্গলাচরণ
ওঁ অজ্ঞানতিমিরান্ধস্য জ্ঞানজ্ঞনশলাকয়া।
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ ।।
শ্রীচৈতন্যমনোহভীষ্টং স্থাপিতং যেন ভুতলে।
স্বয়ং রুপঃ কদা মহ্যং দদাতি স্বপদান্তিকম্ ।।
অনুবাদঃ অজ্ঞতার গভীরতম অন্ধকারে আমার জন্ম হয়েছিল এবং আমার গুরুদেব জ্ঞানের আলোকবর্তিকা
দিয়ে আমার চক্ষু উন্মীলিত করেছেন। তাঁকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। শ্রীল রূপ গোস্বামী প্রভুপাদ, যিনি
প্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অভিলাষ পূর্ণ করবার জন্য এই পৃথিবীতে আবির্ভুত হয়েছিলেন, আমি তাঁর শ্রীপাদপদ্মের আশ্রয়
লাভ কবে করতে পারব?
বন্দেহহং শ্রীগুরোঃ শ্রীযুতপদকমলং শ্রীগুরূন্ বৈষ্ণবাংশ্চ
শ্রীরুপং সাগ্রজাতং সহগণরঘুনাথান্বিতং তং সজীবম্
সাদ্বৈতং সাবধুতং পরিজনসহিতং কৃষ্ণচৈতন্যদেবং
শ্রীরাধাকৃষ্ণপাদান্ সহগণললিতা-শ্রীবিশাখান্বিতাংশ্চ ।।
অনুবাদঃ আমি আমার গুরুদেবের পাদপদ্মে ও সমস্ত বৈষ্ণববৃন্দের শ্রীচরনে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি
শ্রীরূপ গোস্বামী, তাঁর অগ্রজ শ্রীসনাতন গোস্বামী, শ্রীরঘুনাথ দাস, শ্রীরঘুনাথ ভট্র, শ্রীগোপাল ভট্র ও শ্রীল জীব
গোস্বামীর চরণকমলে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, শ্রীনিত্যানন্দ, শ্রীঅদ্বৈত আচার্য,
শ্রীগদাধর, শ্রীবাস ও অন্যান্য পার্ষদবৃন্দের পাদপদ্মে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি শ্রীমতী ললিতা ও বিশাখা সহ শ্রীমতী রাধারাণী ও শ্রীকৃষ্ণের চরণকমলে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধো দীনবন্ধো জগৎপতে।
গোপেশ গোপিকাকান্ত রাধাকান্ত নমোহস্ত তে ।।
অনুবাদঃ হে আমার প্রিয় কৃষ্ণ! তুমি করুণার সিন্ধু, তুমি দীনের বন্ধু, তুমি সমস্ত জগতের পতি,
তুমি গোপীদের ঈশ্বর এবং শ্রীমতী রাধারাণীর প্রেমাস্পদ। আমি তোমার পাদপদ্মে আমার
সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
তপ্তকাঞ্চনগৌরাঙ্গি রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী।
বৃষভানুসুতে দেবি প্রণমামি হরিপ্রিয়ে ।।
অনুবাদঃ শ্রীমতী রাধারাণী, যাঁর অঙ্গকান্তি তপ্তকাঞ্চনের মতো, যিনি বৃন্দাবনের ঈশ্বরী, যিনি মহারাজ বৃষভানুর
দুহিতা এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সী, তাঁর চরণকমলে আমি সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
বাঞ্ছাকল্পতরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুভ্য এব চ।
পতিতানাং পাবনেভ্যো বৈষ্ণবেভ্যো নমো নমঃ ।।
অনুবাদঃ সমস্ত বৈষ্ণব-ভক্তবৃন্দ, যাঁরা বাঞ্ছাকল্পতরুর মতো সকলের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে পারেন, যাঁরা কৃপার সাগর
ও পতিতপাবন, তাঁদের চরণকমলে আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ।
শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ ।।
অনুবাদঃ শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, প্রভু নিত্যানন্দ, শ্রীঅদ্বৈত আচার্য, শ্রীগদাধর ও শ্রীবাস আদি গৌরভক্তবৃন্দের চরণকমলে আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
গীতার ধ্যান
ওঁ পার্থায় প্রতিবোধিতাং ভগবতা নারায়ণেন স্বয়ং
ব্যাসেন গ্রথিতাং পুরাণমুনিনা মধ্যেমহাভারতম্।
অদ্বৈতামৃতবর্ষিণীং ভগবতীমষ্টাদশাধ্যায়িনীম্
অম্ব ত্বামনুসন্দধামি ভগবদ্গীতে ভবদ্বেষিণীম্॥ ১
হে জননী ভগবদ্গীতা, সাক্ষাৎ ভগবান নারায়ণ অর্জুনের নিকট আপনাকে প্রকাশ করেছিলেন। প্রাচীন মহর্ষি ব্যাসদেব মহাভারতের ভীষ্মপর্বে আপনাকে গ্রন্থিত করেছেন। হে অষ্টাদশ-অধ্যায়রূপিণী, অদ্বৈততত্ত্বরূপ অমৃতবর্ষণকারিনী, সংসার-বন্ধন-নাশিনী ভগবতী, আমি আপনার ধ্যান করি। ১
নমোঽস্তু তে ব্যাস বিশালবুদ্ধে ফুল্লারবিন্দায়তপত্রনেত্র।
যেন ত্বয়া ভারততৈলপূর্ণঃ প্রজ্জ্বালিতো জ্ঞানময়ঃ প্রদীপঃ॥ ২
হে মহাত্মা ব্যাস, আপনার নয়নযুগল প্রস্ফুটিত পদ্মপত্রের ন্যায় বিশাল; আপনি মহাভারতরূপ তৈলপূর্ণ জ্ঞানপ্রদীপ প্রজ্বলিত করেছেন; আপনাকে প্রণাম করি। ২
প্রপন্নপারিজাতায় তোত্রবেত্রৈকপাণয়ে।
জ্ঞানমুদ্রায় কৃষ্ণায় গীতামৃতদুহে নমঃ॥ ৩
শরণাগতের নিকট কল্পতরু-স্বরূপ, অশ্বচালনার নিমিত্ত এক হাতে বেত ও লাগামধারী, গীতারূপ অমৃত দোহনকারী এবং জ্ঞানমুদ্রাযুক্ত শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম করি। ৩
সর্বোপনিষদো গাবো দোগ্ধা গোপালনন্দনঃ।
পার্থো বৎসঃ সুধীর্ভোক্তা দুগ্ধং গীতামৃতং মহৎ॥ ৪
উপনিষদসমূহ গাভী স্বরূপ। শ্রীকৃষ্ণ সেই গাভীর দোহনকর্তা। অর্জুন গো-বৎস স্বরূপ। এই মহৎ গীতা-অমৃত সেই গাভীর দুগ্ধ। আর শুদ্ধ-বুদ্ধিসম্পন্ন সুধীজনই পান করেন এই দুগ্ধ। ৪
বসুদেবসুতং দেবং কংসচাণূরমর্দনম্।
দেবকীপরমানন্দং কৃষ্ণং বন্দে জগদ্গুরুম্॥ ৫
কংস ও চাণূর নামক দুই মহাদৈত্যের বিনাশকর্তা, মাতা দেবকীর পরমানন্দ-স্বরূপ, বসুদেবের পুত্র জগদ্গুরু ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বন্দনা করি। ৫
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ ।।
শ্রীচৈতন্যমনোহভীষ্টং স্থাপিতং যেন ভুতলে।
স্বয়ং রুপঃ কদা মহ্যং দদাতি স্বপদান্তিকম্ ।।
অনুবাদঃ অজ্ঞতার গভীরতম অন্ধকারে আমার জন্ম হয়েছিল এবং আমার গুরুদেব জ্ঞানের আলোকবর্তিকা
দিয়ে আমার চক্ষু উন্মীলিত করেছেন। তাঁকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। শ্রীল রূপ গোস্বামী প্রভুপাদ, যিনি
প্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অভিলাষ পূর্ণ করবার জন্য এই পৃথিবীতে আবির্ভুত হয়েছিলেন, আমি তাঁর শ্রীপাদপদ্মের আশ্রয়
লাভ কবে করতে পারব?
বন্দেহহং শ্রীগুরোঃ শ্রীযুতপদকমলং শ্রীগুরূন্ বৈষ্ণবাংশ্চ
শ্রীরুপং সাগ্রজাতং সহগণরঘুনাথান্বিতং তং সজীবম্
সাদ্বৈতং সাবধুতং পরিজনসহিতং কৃষ্ণচৈতন্যদেবং
শ্রীরাধাকৃষ্ণপাদান্ সহগণললিতা-শ্রীবিশাখান্বিতাংশ্চ ।।
অনুবাদঃ আমি আমার গুরুদেবের পাদপদ্মে ও সমস্ত বৈষ্ণববৃন্দের শ্রীচরনে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি
শ্রীরূপ গোস্বামী, তাঁর অগ্রজ শ্রীসনাতন গোস্বামী, শ্রীরঘুনাথ দাস, শ্রীরঘুনাথ ভট্র, শ্রীগোপাল ভট্র ও শ্রীল জীব
গোস্বামীর চরণকমলে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, শ্রীনিত্যানন্দ, শ্রীঅদ্বৈত আচার্য,
শ্রীগদাধর, শ্রীবাস ও অন্যান্য পার্ষদবৃন্দের পাদপদ্মে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি শ্রীমতী ললিতা ও বিশাখা সহ শ্রীমতী রাধারাণী ও শ্রীকৃষ্ণের চরণকমলে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধো দীনবন্ধো জগৎপতে।
গোপেশ গোপিকাকান্ত রাধাকান্ত নমোহস্ত তে ।।
অনুবাদঃ হে আমার প্রিয় কৃষ্ণ! তুমি করুণার সিন্ধু, তুমি দীনের বন্ধু, তুমি সমস্ত জগতের পতি,
তুমি গোপীদের ঈশ্বর এবং শ্রীমতী রাধারাণীর প্রেমাস্পদ। আমি তোমার পাদপদ্মে আমার
সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
তপ্তকাঞ্চনগৌরাঙ্গি রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী।
বৃষভানুসুতে দেবি প্রণমামি হরিপ্রিয়ে ।।
অনুবাদঃ শ্রীমতী রাধারাণী, যাঁর অঙ্গকান্তি তপ্তকাঞ্চনের মতো, যিনি বৃন্দাবনের ঈশ্বরী, যিনি মহারাজ বৃষভানুর
দুহিতা এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সী, তাঁর চরণকমলে আমি সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
বাঞ্ছাকল্পতরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুভ্য এব চ।
পতিতানাং পাবনেভ্যো বৈষ্ণবেভ্যো নমো নমঃ ।।
অনুবাদঃ সমস্ত বৈষ্ণব-ভক্তবৃন্দ, যাঁরা বাঞ্ছাকল্পতরুর মতো সকলের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে পারেন, যাঁরা কৃপার সাগর
ও পতিতপাবন, তাঁদের চরণকমলে আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ।
শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ ।।
অনুবাদঃ শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, প্রভু নিত্যানন্দ, শ্রীঅদ্বৈত আচার্য, শ্রীগদাধর ও শ্রীবাস আদি গৌরভক্তবৃন্দের চরণকমলে আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
গীতার ধ্যান
ওঁ পার্থায় প্রতিবোধিতাং ভগবতা নারায়ণেন স্বয়ং
ব্যাসেন গ্রথিতাং পুরাণমুনিনা মধ্যেমহাভারতম্।
অদ্বৈতামৃতবর্ষিণীং ভগবতীমষ্টাদশাধ্যায়িনীম্
অম্ব ত্বামনুসন্দধামি ভগবদ্গীতে ভবদ্বেষিণীম্॥ ১
হে জননী ভগবদ্গীতা, সাক্ষাৎ ভগবান নারায়ণ অর্জুনের নিকট আপনাকে প্রকাশ করেছিলেন। প্রাচীন মহর্ষি ব্যাসদেব মহাভারতের ভীষ্মপর্বে আপনাকে গ্রন্থিত করেছেন। হে অষ্টাদশ-অধ্যায়রূপিণী, অদ্বৈততত্ত্বরূপ অমৃতবর্ষণকারিনী, সংসার-বন্ধন-নাশিনী ভগবতী, আমি আপনার ধ্যান করি। ১
নমোঽস্তু তে ব্যাস বিশালবুদ্ধে ফুল্লারবিন্দায়তপত্রনেত্র।
যেন ত্বয়া ভারততৈলপূর্ণঃ প্রজ্জ্বালিতো জ্ঞানময়ঃ প্রদীপঃ॥ ২
হে মহাত্মা ব্যাস, আপনার নয়নযুগল প্রস্ফুটিত পদ্মপত্রের ন্যায় বিশাল; আপনি মহাভারতরূপ তৈলপূর্ণ জ্ঞানপ্রদীপ প্রজ্বলিত করেছেন; আপনাকে প্রণাম করি। ২
প্রপন্নপারিজাতায় তোত্রবেত্রৈকপাণয়ে।
জ্ঞানমুদ্রায় কৃষ্ণায় গীতামৃতদুহে নমঃ॥ ৩
শরণাগতের নিকট কল্পতরু-স্বরূপ, অশ্বচালনার নিমিত্ত এক হাতে বেত ও লাগামধারী, গীতারূপ অমৃত দোহনকারী এবং জ্ঞানমুদ্রাযুক্ত শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম করি। ৩
সর্বোপনিষদো গাবো দোগ্ধা গোপালনন্দনঃ।
পার্থো বৎসঃ সুধীর্ভোক্তা দুগ্ধং গীতামৃতং মহৎ॥ ৪
উপনিষদসমূহ গাভী স্বরূপ। শ্রীকৃষ্ণ সেই গাভীর দোহনকর্তা। অর্জুন গো-বৎস স্বরূপ। এই মহৎ গীতা-অমৃত সেই গাভীর দুগ্ধ। আর শুদ্ধ-বুদ্ধিসম্পন্ন সুধীজনই পান করেন এই দুগ্ধ। ৪
বসুদেবসুতং দেবং কংসচাণূরমর্দনম্।
দেবকীপরমানন্দং কৃষ্ণং বন্দে জগদ্গুরুম্॥ ৫
কংস ও চাণূর নামক দুই মহাদৈত্যের বিনাশকর্তা, মাতা দেবকীর পরমানন্দ-স্বরূপ, বসুদেবের পুত্র জগদ্গুরু ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বন্দনা করি। ৫
ভীষ্মদ্রোণতটা জয়দ্রথজলা গান্ধারনীলোৎপলা
শল্যগ্রাহবতী কৃপেণ বহনী কর্ণেন বেলাকুলা।
অশ্বত্থামবিকর্ণঘোরমকরা দুর্যোধনাবর্তিনী
সোত্তীর্ণা খলু পাণ্ডবৈ রণনদী কৈবর্তকঃ কেশবঃ॥ ৬
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধরূপী নদীতে ভীষ্ম ও দ্রোণ দুই তীর, জয়দ্রথ জল, গান্ধাররাজ পিচ্ছিল নীল প্রস্তর, শল্য কুমির, কৃপ খরস্রোত, কর্ণ উত্তাল তরঙ্গ, অশ্বত্থামা ও বিকর্ণ ভয়ঙ্কর দুই মকর এবং দুর্যোধন আবর্ত রূপে ছিল। সেই রণনদী পাণ্ডবগণ নিশ্চিতরূপেই উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন তাঁদের কর্ণধার। ৬
পারাশর্যবচঃসরোজমমলং গীতার্থগন্ধোৎকটং
নানাখ্যানককেশরং হরিকথাসম্বোধনাবোধিতম্।
লোকে সজ্জনষট্পদৈরহরহঃ পেপীয়মানং মুদা
ভূয়াদ্ভারতপঙ্কজং কলিমলপ্রধ্বংসি নঃ শ্রেয়সে॥ ৭
মহর্ষি পরাশরের পুত্র ব্যাসদেবের বাক্যরূপ সরোবরজাত, হরিকথা প্রসঙ্গ দ্বারা প্রস্ফুটিত, নানা আখ্যানরূপ কেশরযুক্ত যে পদ্মের মধু এই জগতে সৎজনরূপ ভ্রমরগণ অহরহ পান করেন, কলিকালের কলুষনাশক, গীতারূপ তীব্র সুগন্ধযুক্ত অমল মহাভারতরূপ সেই পদ্ম আমাদের কল্যাণের কারণ হোক। ৭
মূকং করোতি বাচালং পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম্।
যৎকৃপা তমহং বন্দে পরমানন্দমাধবম্॥ ৮
যাঁর কৃপায় বাক্শক্তিহীন বাগ্মী হয় এবং পঙ্গু গিরি লঙ্ঘন করে, সেই পরমানন্দ-স্বরূপ মাধবকে বন্দনা করি। ৮
যং ব্রহ্মা বরুণেন্দ্ররুদ্রমরুতঃ স্তুন্বন্তি দিব্যৈঃ স্তবৈঃ
বেদৈঃ সাঙ্গপদক্রম-উপনিষদৈর্গায়ন্তি যং সামগাঃ।
ধ্যানাবস্থিত-তদ্গতেন মনসা পশ্যন্তি যং যোগিনো
যস্যান্তং ন বিদুঃ সুরাসুরগণা দেবায় তস্মৈ নমঃ॥ ৯
ব্রহ্মা, বরুণ, ইন্দ্র, রুদ্র ও মরুৎগণ দিব্য স্তবগানে যাঁর স্তুতি করেন, সামবেদ গায়কবৃন্দ অঙ্গ, পদ, ক্রম ও উপনিষদসহ বেদমন্ত্র দ্বারা যাঁর মহিমা কীর্তন করেন, যোগীগণ ধ্যানমগ্ন হয়ে তদ্গতচিত্তে যাঁকে দর্শন করেন এবং দেবগণ বা অসুরগণ কেউই যাঁর চরম তত্ত্ব অবগত নন, সেই দেবতা (পরমাত্মা নারায়ণ)-কে প্রণাম করি। ৯
শল্যগ্রাহবতী কৃপেণ বহনী কর্ণেন বেলাকুলা।
অশ্বত্থামবিকর্ণঘোরমকরা দুর্যোধনাবর্তিনী
সোত্তীর্ণা খলু পাণ্ডবৈ রণনদী কৈবর্তকঃ কেশবঃ॥ ৬
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধরূপী নদীতে ভীষ্ম ও দ্রোণ দুই তীর, জয়দ্রথ জল, গান্ধাররাজ পিচ্ছিল নীল প্রস্তর, শল্য কুমির, কৃপ খরস্রোত, কর্ণ উত্তাল তরঙ্গ, অশ্বত্থামা ও বিকর্ণ ভয়ঙ্কর দুই মকর এবং দুর্যোধন আবর্ত রূপে ছিল। সেই রণনদী পাণ্ডবগণ নিশ্চিতরূপেই উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন তাঁদের কর্ণধার। ৬
পারাশর্যবচঃসরোজমমলং গীতার্থগন্ধোৎকটং
নানাখ্যানককেশরং হরিকথাসম্বোধনাবোধিতম্।
লোকে সজ্জনষট্পদৈরহরহঃ পেপীয়মানং মুদা
ভূয়াদ্ভারতপঙ্কজং কলিমলপ্রধ্বংসি নঃ শ্রেয়সে॥ ৭
মহর্ষি পরাশরের পুত্র ব্যাসদেবের বাক্যরূপ সরোবরজাত, হরিকথা প্রসঙ্গ দ্বারা প্রস্ফুটিত, নানা আখ্যানরূপ কেশরযুক্ত যে পদ্মের মধু এই জগতে সৎজনরূপ ভ্রমরগণ অহরহ পান করেন, কলিকালের কলুষনাশক, গীতারূপ তীব্র সুগন্ধযুক্ত অমল মহাভারতরূপ সেই পদ্ম আমাদের কল্যাণের কারণ হোক। ৭
মূকং করোতি বাচালং পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম্।
যৎকৃপা তমহং বন্দে পরমানন্দমাধবম্॥ ৮
যাঁর কৃপায় বাক্শক্তিহীন বাগ্মী হয় এবং পঙ্গু গিরি লঙ্ঘন করে, সেই পরমানন্দ-স্বরূপ মাধবকে বন্দনা করি। ৮
যং ব্রহ্মা বরুণেন্দ্ররুদ্রমরুতঃ স্তুন্বন্তি দিব্যৈঃ স্তবৈঃ
বেদৈঃ সাঙ্গপদক্রম-উপনিষদৈর্গায়ন্তি যং সামগাঃ।
ধ্যানাবস্থিত-তদ্গতেন মনসা পশ্যন্তি যং যোগিনো
যস্যান্তং ন বিদুঃ সুরাসুরগণা দেবায় তস্মৈ নমঃ॥ ৯
ব্রহ্মা, বরুণ, ইন্দ্র, রুদ্র ও মরুৎগণ দিব্য স্তবগানে যাঁর স্তুতি করেন, সামবেদ গায়কবৃন্দ অঙ্গ, পদ, ক্রম ও উপনিষদসহ বেদমন্ত্র দ্বারা যাঁর মহিমা কীর্তন করেন, যোগীগণ ধ্যানমগ্ন হয়ে তদ্গতচিত্তে যাঁকে দর্শন করেন এবং দেবগণ বা অসুরগণ কেউই যাঁর চরম তত্ত্ব অবগত নন, সেই দেবতা (পরমাত্মা নারায়ণ)-কে প্রণাম করি। ৯
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার যেকোন অধ্যায় পাঠ করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন......
- Home
- মঙ্গলাচরণ
- শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার অধ্যায় ভিত্তিক সারসংক্ষেপ
- প্রথম অধ্যায়- অর্জুন বিষাদ-যোগ
- দ্বিতীয় অধ্যায়- সাংখ্য-যোগ
- তৃতীয় অধ্যায়- কর্মযোগ
- চতুর্থ অধ্যায়- জ্ঞানযোগ
- পঞ্চম অধ্যায়-কর্মসন্ন্যাস-যোগ
- ষষ্ঠ অধ্যায়-ধ্যানযোগ
- সপ্তম অধ্যায়-বিজ্ঞান-যোগ
- অষ্টম অধ্যায়-অক্ষরব্রহ্ম-যোগ
- নবম অধ্যায়-রাজগুহ্য-যোগ
- দশম অধ্যায়-বিভূতি-যোগ
- একাদশ-অধ্যায়-বিশ্বরূপ-দর্শন-যোগ
- দ্বাদশ-অধ্যায়-ভক্তিযোগ
- প্রকৃতি-পুরুষ-বিবেকযোগ
- চতুর্দশ-অধ্যায়-গুণত্রয়-বিভাগ-যোগ
- পঞ্চদশ-অধ্যায়-পুরুষোত্তম-যোগ
- ষোড়শ-অধ্যায়-দৈবাসুর-সম্পদ-বিভাগযোগ
- সপ্তদশ-অধ্যায়-শ্রদ্ধাত্রয়-বিভাগ-যোগ
- অষ্টাদশ অধ্যায়-মোক্ষযোগ
- গীতা-মাহাত্ম্য
|
|
0 মন্তব্যসমূহ